Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দেশের স্বার্থে ক্ষতিকর চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ, এটা রক্ষার দায়িত্ব আপনার আমার সবার।


শিরোনাম
মাছচাষীদের প্রচন্ড তাপদাহে করণীয়
বিস্তারিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়

গোপালগঞ্জ।

www.fisheries.gopalganj.gov.bd

তীব্র তাপদাহে মৎস্য খামারিদের করণীয় বিষয়ে পরামর্শ 

আবহাওয়াবিদগণ কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য মতে  এলনিনোসহ জলবায়ুজনিত বিবিধ কারণে বিশ্বের অনেক দেশে তীব্র থেকে তীব্রতর তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে এ তাপদাহের সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় অত্যধিক তাপমাত্রায় মাছ চাষের পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা কমে এর সংকট তৈরি, মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য নষ্ট হওয়া, অধিক পচন সৃষ্টি হওয়ায় দূষিত গ্যাস এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিসহ থার্মাল শক এবং পানির নানাবিধ ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলী পরিবর্তিত হয়ে মাছের মড়কের কারণ হতে পারে। এমতাবস্থায়, স্থানীয় অবস্থা বিবেচনায় চাষকৃত পুকুর/জলাশয়ের মৎস্য খামারিদের জন্য নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে:

 

১. দিনের বেলায় জাল/হররা টেনে পুকুর/জলাশয়ের তলদেশের দূষিত গ্যাস বের করে দেয়া;

২. তাপদাহ চলাকালীন প্রতি ১৫ দিনে একবার করে ভোরে প্রতি শতাংশে ১০০-২০০ গ্রাম চুন, বিকালে ১০০-২০০ গ্রাম লবণ প্রয়োগ:

৩. তাপদাহ চলাকালীন প্রতিদিন প্রতি শতাংশে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান (আটা/ চাল/ ভুট্টার কুড়া ইত্যাদি) ৫০-১০০ গ্রাম করে প্রয়োগ করা যেতে পারে;

৪. তাপদাহ চলাকালীন পুকুর/জলাশয়ে ইউরিয়া অথবা ইউরিয়া জাতীয় সার প্রয়োগ বন্ধ রাখা;

৫. প্রয়োজনে মাছের জন্য দৈনিক খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ অর্ধেক কিংবা অবস্থাভেদে আনুপাতিক হারে কমানো;

৬. সম্ভব হলে পুকুর/জলাশয়ে চাষকৃত মাছের মজুদ ঘনত্ব কমানো ও পচনশীল দ্রব্য থাকলে অপসারণ করা;

৭. সম্ভব হলে দুপুরের পর পুকুর/জলাশয়ে ডীপ টিউবওয়েল/সাব মারসিবল পাম্প/অন্যান্য উৎস থেকে নিরাপদ ঠান্ডা পানি ঝর্ণাকারে সরবরাহের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ও পানির প্রয়োজনীয় গভীরতা বৃদ্ধি করা;

৮. অক্সিজেনের ঘাটতি হলে হলে প্রতি শতকে প্রতি ফুট পানির গভীরতায় ১ টা করে অক্সিজেন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা;

৯. চাষকৃত পুকুর/জলাশয়ে দুপুরের পর অন্তত: ১ ঘন্টা এবং শেষ রাতে কমপক্ষে ২ ঘন্টা করে প্রতিদিন এরেটর চালানো;

১০. জলায়তন অনুপাতে পুকুর/জলাশয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশে কচুরিপানা দিয়ে ছায়াযুক্ত স্থান তৈরি করা যেতে পারে (পুকুর। জলাশয়ে যাতে ছড়িয়ে না যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে);

১১. পুকুরের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ নিয়মিত পরীক্ষাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং

১২. জেলা/উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর হতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ।

ছবি
প্রকাশের তারিখ
04/05/2025
আর্কাইভ তারিখ
31/08/2025